Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

আমাদের অর্জনসমূহ

কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মৎস্য সেক্টরের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অনস্বীকার্য। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২১ অনুযায়ী দেশের মোট জিডিপি’র ৩.৫৭ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপি’র এক-চতুর্থাংশের বেশি (২৬.৫০ শতাংশ) মৎস্যখাতের অবদান। আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যে প্রাণিজ আমিষের প্রায় ৬০ ভাগ আসে মাছ থেকে। বিগত তিন অর্থবছরে (২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১) মোট মৎস্য উৎপাদন ছিল ৪৩.৮৪, ৪৫.০৩ ও ৪৬.২১ লক্ষ মেট্রিক টন। বিগত তিন অর্থবছরে (২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১) ৭৩১৭১.৩২, ৭০৯৪৫.৩৯ ও ৭৬৫৯১.৬৯ মে.টন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি করে যথাক্রমে ৪২৫০.৩১, ৩৯৮৫.১৫ ও ৪০৮৮.৯৬ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে। অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ উৎপাদন ও বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে যথাক্রমে ৩য় ও ৫ম স্থান অধিকার করেছে (এফএও, ২০২০)। মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে অন্যতম ভ‚মিকা ইলিশ মাছের। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের ৪ লাখ ৯৬ হাজার মে.টন ইলিশ উৎপাদিত হয়। সর্বশেষ ২০২০-২১ র্অথবছরে দশেে ইলশিরে উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫০ হাজার মট্রেকি টন । অধিদপ্তরের হিসাবে গত অর্থ বছরে দেশে উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ শতাংশই ছিল ইলিশ। বিপন্নপ্রায় মাছের প্রজাতির সংরক্ষণ, অবাধ প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে সার্বিক মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি হয়েছে। গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন নদ-নদী ও অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ের ৫৩৪টি মৎস্য অভয়াশ্রম স্থাপন করা হয়েছে। অভয়াশ্রম-সংশ্লিষ্ট জলাশয়ে মাছের উৎপাদন ১৪০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি হয়েছে। অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠার ফলে বিলুপ্তপ্রায় এবং বিপন্ন ও দুর্লভ প্রজাতির মাছ, যথা একঠোঁট, টেরিপুঁটি, মেনি, রানী, গোড়া গুতুম, চিতল, ফলি, বামোস, কালিবাউশ, আইড়, টেংরা, সরপুঁটি, মধু পাবদা, রিঠা, কাজলি, চাকা, গজার, বাইম ইত্যাদির তাৎপর্যপূর্ণ পুনরাবির্ভাব ও প্রাপ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অভয়াশ্রমে দেশি কই, শিং, মাগুর, পাবদা, ইত্যাদি মাছের পোনা ছাড়ার ফলে এসব মাছের প্রাচুর্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। সমগ্র বাংলাদেশের মৎস্য খাতে উন্নয়নের সার্বিক চিত্রের সফল প্রতিফলন আমাদের দঘিলয়িার মৎস্য খাতেও দেখা গিয়েছে। মৎস্য উৎপাদনে দঘিলয়িা উপজেলা একটি উদ্বৃত্ত উৎপাদনশীল উপজেলা। এখানে বাৎসরিক মাছের চাহিদা ৩৬৫২.৬৩ মে.টন (জন প্রতি দৈনিক ৬৫ গ্রাম হিসেবে) এর বিপরীতে উপজেলাটির বার্ষিক মৎস্য উৎপাদন হয়েছে ৮,১৮৬.৮৯ মে. টন (২০২১-২২) যা বাৎসরিক চাহিদার প্রায় দ্বিগুণ। দঘিলয়িায় উৎপাদিত মাছ যশোর, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, পরিোজপুর, ঝালকাঠ,ি ফরদিপুর সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের চাহিদা পূরণে অগ্রণী ভ‚মিকা রাখছে। মৎস্য অধিদপ্তর, দঘিলয়িা কর্তৃক চাষীদেরকে উন্নততর প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ প্রদান সহ, নতুন নতুন প্রযুক্তির প্রদর্শনী স্থাপন, উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্তি, বিলনার্সারি স্থাপন এবং মৎস্য আইনসমূহের সফল বাস্তবায়ন এ উপজেলার মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে অগ্রনী ভ‚মিকা রাখছে।